132385
গণবিদ্যাপীঠ কারিগরি ও বাণিজ্যিক কলেজ একটি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। প্রায় দুই যুগেরও বেশী ধরে এ প্রতিষ্ঠানটি কালপরিক্রমায় উত্তরোত্তর বিকশিত হয়ে চলেছে। ঐতিহ্য মানে নিজস্বতার মজবুত ভিত তৈরি করা আর কালের বিবর্তনের সঙ্গে রূপান্তরশীল থাকা। ঐতিহ্য মানে নিজের শেকড় মাটির গভীরে প্রোথিত রেখে নিত্য-নতুন ডাল-পালা বিস্তার করে নতুন সূর্যের পথ ধরে নতুন নতুন আকাশ আবিস্কার করা। ২০০০ সালে ‘গণবিদ্যাপীঠ কারিগরি ও বাণিজ্যিক কলেজ’ নামে শিক্ষায়তনটির আবির্ভাব ঘটে বারপাড়া গ্রামে। প্রতিষ্ঠার পর কলেজটি বর্তমান অবস্থানে স্বমহিমায় প্রতিষ্ঠিত। কুমিল্লা শহরের অনতিদূরে চকবাজার হতে ৩০০ গজ পূর্বে ঢাকা-চট্টগ্রামের মহাসড়কের পার্শ্বে রাজমনি কমিউনিটি সেন্টারের দক্ষিণে অবস্থিত। গণবিদ্যাপীঠ কারিগরি ও বাণিজ্যিক কলেজ কুমিল্লা তথা বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য এক
বিস্তারিত
আমরা একসাথে এই অবিশ্বাস্য যাত্রা শুরু করার সাথে সাথে আমি আপনাদের সকলকে সম্বোধন করছি, এটা অত্যন্ত আনন্দ এবং কৃতজ্ঞতার সাথে। গণবিদ্যাপীঠ কারিগরি ও বাণিজ্যিক মহাবিদ্যালয় শুধু একটি প্রতিষ্ঠান নয়; এটি একটি স্বপ্ন বাস্তবে রূপান্তরিত, জ্ঞানের আলোকবর্তিকা এবং ভবিষ্যতের জন্য একটি লালন ক্ষেত্র।
এই প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে আমি শিক্ষার জন্য গভীরভাবে অঙ্গীকারবদ্ধ। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে শিক্ষা হল সবচেয়ে শক্তিশালী হাতিয়ার যা আমাদের জীবনকে রূপান্তরিত করতে, ব্যক্তিদের ক্ষমতায়ন করতে এবং সম্প্রদায়ের উন্নতি করতে হবে। গণবিদ্যাপীঠ কারিগরি ও বাণিজ্যিক মহাবিদ্যালয়ের মাধ্যমে, আমি এমন একটি জায়গার কল্পনা করি যেখানে তরুণ মন লালন-পালন করা হয়, প্রতিভাকে সম্মানিত করা হয় এবং স্বপ্নগুলি বাস্তবে রূপান্তরিত হয়।
আমাদের লক্ষ্য হল একটি সামগ্রিক
বিস্তারিত
আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, আমাদের গণবিদ্যিাপীঠ কারিগরি ও বাণিজ্যিক মহাবিদ্যালয়ে তার নিজস্ব ওয়েব সাইট চালু করেছে। আমার বিশ্বাস একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তার নিজস্ব ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সকল তথ্যাদি হাতের নাগালে পৌঁছে দিতে পারে। বিশ্বায়নের এই যুগে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে আমরা বিশ্বসভ্যতার সাথে আমাদেরকে সংযুক্ত করতে পারি। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই গণবিদ্যাপীঠ কারিগরি ও বাণিজ্যিক মহাবিদ্যালয় কারিগরি শিক্ষার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। এই কলেজ সাহিত্য, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং মানব সম্পদ উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। আমি বিশ্বাস করি এই কলেজের ওয়েব সাইট চালুর মাধ্যমে বিচিত্র ধরনের প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটবে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে বদ্ধ পরিকর। আমরা এমন এক সময়ে
বিস্তারিত01 Jan, 2025 |
16 Dec, 2024 |
11 Dec, 2024 |
25 Nov, 2024 |
30 Oct, 2024 |
08 Oct, 2024 |
26 Sep, 2024 |
18 Sep, 2024 |
18 Sep, 2024 |
15 Sep, 2024 |
বাংলাদেশে শিক্ষা, সংস্কৃতি, কৃষি ও সমবায়ের পথিকৃত কুমিল্লা। স্বনির্ভরতা অর্জনের জন্য যে সকল গুণাবলী থাকা দরকার তার সব কয়টি কুমিল্লায় বিদ্যমান। পৃথিবীর ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলির মধ্যে বৃহত্তর কুমিল্লা অন্যতম এলাকা হিসাবে পরিচিত। প্রাচীনকাল হতেই কুমিল্লা বাংলার শিক্ষা-সংস্কৃতির পাদপীঠ। বৃহত্তর কুমিল্লা ছাড়াও আশে পাশের জেলাগুলি থেকে ছেলে-মেয়েরা লেখাপড়া করতে আসত এই কুমিল্লায়। সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি কারিগরি শিক্ষাও প্রসার লাভ করে এই বৃহত্তর কুমিল্লায়। একসময় কুমিল্লার শিক্ষিত সমাজই দেশ-সরকার-প্রশাসনের চালিকা শক্তি ছিল। শিক্ষার মর্যাদা ছিল, ছিল মেধার মূল্যায়ন। ফলে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের অধিকাংশই ছিলেন বৃহত্তর কুমিল্লার অধিবাসী। সচেতন কুমিল্লাবাসীর আজ জোর দিতে হবে সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি কারিগরি শিক্ষার প্রতি। এদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বর্তমানে দরকার ক্ষুদ্র ও মাঝারি ধরণের শিল্প কারখানা গড়ে তোলা, কুটির শিল্পজাত দ্রব্যাদির গুণগত মান বাড়িয়ে এই শিল্পকে সংগঠিত করা। আর সেজন্য দরকার কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত সমাজ। কুমিল্লার গ্রামাঞ্চলে গোমতীর দক্ষিণাঞ্চলে আদর্শ সদর উপজেলাধীন ৬নং জগন্নাথপুর ইউনিয়নকে কেন্দ্র করে পল্লী উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে সমাজের দূর্বল, অসহায়, পেছনে পড়ে থাকা শিক্ষার্থী ও শিক্ষিত বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্তি এবং উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা পরবর্তীকালে দক্ষ জনশক্তি হিসাবে দেশে বিদেশে নিজেদের যোগ্যতায় প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে প্রখ্যাত শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিত্ব অধ্যাপক দেবব্রত দত্ত গুপ্তের স্ত্রী শ্রীমতি পূরবী দত্ত গুপ্তা তার নামে ভূমি দান করার কারণে ২০০০ সালের ১০ জুলাই বিাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে আবেদনের মাধ্যমে ২০০০ সালের ১৭ই জুলাই এমনি এক শুভক্ষণে সোনালী সূর্যের একরাশ আলোর প্রত্যাশা নিয়ে বারপাড়া গ্রামে প্রতিষ্ঠিত হয় একটি উচ্চ মাধ্যমিক (ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা) প্রতিষ্ঠান যার নামকরণ হয় গণবিদ্যাপীঠ কারিগরি ও বাণিজ্যিক মহাবিদ্যালয়। অধ্যক্ষ মোঃ আবদুর রউফ এই প্রতিষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন। ‘গ্রাম সর্বস্ব বাংলার প্রতিটি গ্রামের সার্বিক উন্নয়ন মানেই গোটা দেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়ন’-এক্ষেত্রে এই প্রতিষ্ঠানটির গুরুত্ব সমাধিক। তা্ই আমরা এই মহান কর্ম-প্রচেষ্টার সহিত যাদের অবদান রয়েছে তাদেরকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানাই।